ঢাকা,শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় নারী প্রার্থী ‘ছেমন আরা’এক ইউনিয়নে দ্বৈত ভোটার!

পেকুয়া ইউপি নিবর্কাচননাজিম উদ্দিন, পেকুয়া :::

পেকুয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ছেমন আরা বেগম দ্বৈত ভোটার হয়েছেন। উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পৃথক এলাকা থেকে ওই নারী প্রার্থী দু’বার ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হয়েছেন। ইউনিয়ন এক হলেও ছেমন আরা তার সুবিধার্থে দু’জায়গায় ভোটার হয়েছেন। তথ্য গোপন করে ওই মহিলা টইটং ইউনিয়নের পৃথক স্থানে ভোটার হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। তিনি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে টইটং ইউনিয়নের ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড় থেকে সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন। জানা গেছে ছেমন আরা পুর্বের প্রদত্ত আইডি কার্ডে তার নাম ছেমন আরা বেগম। স্বামী-আবু ওমর। পেশা -বেসরকারি চাকরি। মাতা-মাবিয়া খাতুন, ভোটার নং-২২০৪৮৫০০০০৪৮। যার ভোটার ক্রমিক নং-১৮৫। ওই আইডি কার্ডে তার জন্ম তারিখ ০৩-০৩-১৯৮৬। ঠিকানা-ওমরের বাড়ি নতুনপাড়া, পুর্ব টইটং, পেকুয়া, কক্সবাজার। এদিকে ওই মহিলা ওই আইডি কার্ডের পরিবর্তে ফের নতুন ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হয়েছেন। অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে তিনি ভোটার হালনাগাদ করন তালিকায় তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় দফায় ভোটার হয়েছেন। এ তালিকায়ও তার সব তথ্য ঠিক থাকলেও আইডি নং, ভোটার ক্রমিক নং, জন্ম তারিখ, পেশা ও ঠিকানায় পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন তালিকায় তার ভোটার নং-২২০৪৮৫৩০৬৬৯৭। ভোটার ক্রমিক নং-০৯৩। জন্ম তারিখ ১৯-১০-১৯৮১। পুর্বের আইডিতে পেশায় বেসরকারি চাকুরীজীবি উল্লেখ থাকলেও পরবর্তী ভোটার তালিকায় পেশায় তাকে গৃহিনী উল্লেখ করা হয়েছে। একই ভাবে নতুনপাড়া পুর্ব টইটংয়ের স্থলে নতুন তালিকায় তার ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে নতুনপাড়া পশ্চিম টইটং। এদিকে ওই প্রার্থী দ্বৈত ভোটার হওয়ার এখবর এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে কৌতুহল তৈরি হয়েছে। তারা এটিকে দুর্ধান্ত প্রতারনা উল্লেখ করেছেন। জন্ম তারিখ দু’রকম হওয়ায় সাধারন মানুষ ওই প্রার্থীকে নিয়ে হাস্যরস্য করছেন। অনেকে ছেমন আরা বেগমের দু’বার জন্ম নিয়েছেন বলে মন্তব্যও করেছেন। দ্বৈত ভোটার হওয়ায় কারনে জাল ভোট দেয়ার সম্ভবনা বিদ্যমান রয়েছে বলে সাধারন ভোটাররা জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনে একই ব্যক্তি দ্বৈত ভোটার হওয়ার বিষয়ে বিধি নিষেধ আরোপ রয়েছে। কোন ব্যক্তি তথ্য গোপন করে একাধিক ভোটার হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থও চালু রাখা হয়েছে নির্বাচন কমিশনে।

পাঠকের মতামত: